Difference between AC and DC Current in Bengali

বর্তমান দিনে অক্সিজেনের পরে মানুষের জীবনে ইলেকট্রিক হলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারেন্টের দুটি ভিন্ন রুপ AC বা Alternating Current DC বা Direct Current। এই লেখাতে যে বিষয়ে আলোচনা করবো।

 1. AC বা Alternating Current কাকে বলে?


 2. DC বা Direct Current কাকে বলে?


3. AC ও DC মধ্যে প্রার্থক্য।
Difference Between AC And DC 


4. কেন AC বা Alternating Current আমরা জমা রাখতে পারি না?


5. কেন  DC বা Direct Current জমা রাখতে পারি?


1. AC বা Alternating Current কাকে বলে?

AC পূর্ণ নাম হলো Alternating Current  যার বাংলা অর্থ পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎ। এই কারেন্ট একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে তার অভিমুখ (Direction) ও মান (Value) বদলায় তাই আমরা এই কারেন্ট কে AC বা Alternating Current বলি।অর্থাৎ এই কারেন্টের একটি দিক প্রথমে যেটি পজেটিভ ছিলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে সেটি নেগেটিভ হবে।Alternating Current কারেন্ট এ অনেক বেশি ভোল্টেজ উৎপন্ন করা সম্ভব মোটামুটি ৩৩০০০ ভোল্ট পর্যন্ত উৎপন্ন করা হয়। Alternating Current কারেন্ট এর একটি বিশেষ সুবিধা হলো এই কারেন্ট কে আমরা ট্রান্সফরমার ব্যবহার করে ভোল্টেজ কে কম ও বেশি করতে পারি।যার ফলে খুব সহজেই অনেক দূরে পর্যন্ত পাঠানো যায়।স্টেপ আপ ট্রান্সফরমার এর ব্যবহার করে প্রথমে ভোল্টেজ বাড়ানো হয়। তারপর এটি কে তার গন্তব্যে স্থান এ পাঠানো হয় ।সেখানে পৌঁছে যাবার পর এটিকে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার এর সাহায্যে ভোল্টেজ এর প্রয়োজন অনুসারে বিতরণ(Distribute)করা হয়। আর এর ইনস্টলেশন খুব বেশি খরচ হয় না।

এসি ওয়েব
উপরে চিত্র দেখলে বুঝতে পারবো যে, x অক্ষ বরাবর সময় এবং y অক্ষ বরাবর কারেন্ট দিয়ে দিক নির্দেশনা করা হয়েছে। এথেকে বুঝা যাচ্ছে সময়ের সাথে কারেন্টের মান পরিবর্তন হচ্ছে।

2. DC বা Direct Current কাকে বলে?

DC হলো Direct Current বা অপরিবর্তনশীল কারেন্ট। সুতারাং বুঝায় যাচ্ছে এই কারেন্ট তার অভিমুখ (Direction) ও মান (Value) বদলায় না। DC বা Direct Current এর দুটি দিক থাকে যার একটি হচ্ছে পজেটিভ(Positive) ও অন্যটি হচ্ছে নেগেটিভ(Negative)।

বর্তমানে AC বা Alternating Current ব্যবহার বেশি হয় কিন্তু কিছু কিছু ক্ষত্রে DC বা Direct Current এর ব্যবহার হয়।

ডিসি ওয়েবফর্ম
উপরের চিত্রে, x অক্ষ বরাবর সময় এবং y অক্ষ বরাবর কারেন্ট এর দিক নির্দেশনা করা হয়েছে। চিত্রটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষন করলে বুঝা যায় যে, সময় পরিবর্তন হবার সাথে সাথে কারেন্টের মান পরিবর্তন হচ্ছে না।

3. AC ও DC মধ্যে প্রার্থক্য।

AC বা Alternating CurrentDC বা Direct Current
এই কারেন্ট এর অভিমুখ (Direction) ও মান (Value)পরিবর্তন হয়।এই কারেন্ট এরঅভিমুখ (Direction) ও মান (Value)পরিবর্তন হয় না।
এটি অল্টারনেটর সাহায্যে উৎপন্ন করা হয়।এটি Commutator সাহায্যে উৎপন্ন করা হয়।
 এই প্রকার কার্রেন্টের বাড়ি ও কারখানা ইত্যাদি তে ব্যাবহৃত হয়।এই প্রকার কারেন্ট ইলেকট্রনিক সামগ্রী তে ব্যাবহৃত হয়।
 এটি অনেক দূর পর্য্ন্ত পাঠানো যায়।এটি বেশি দূর পর্য্ন্ত পাঠানো যায় না।
AC কে DC তে রূপান্তর করতে ইনভার্টার এর প্রয়োগ করা হয়।DC কে AC তে রূপান্তর করতে রেক্টিফায়ারে এর প্রয়োগ করা হয়।
 ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ বা ৬০ হার্টজ হতে পারে।এটির ফ্রিকোয়েন্সি শুন্য হয়।

4. কোনো AC বা Alternating Current  জমা রাখতে পারি না?

আমরা AC বা Alternating CurrentDC হলো Direct Current সম্বন্ধে জেনেছি। এবার আমরা জানবো AC বা Alternating Current কোনো সঞ্চয় করতে পারি না?। এই বিষয়টি বোঝার জন্য উদাহরন দিয়ে বুঝলে অনেক সহজ হবে।

আমরা জানি, আমাদের দেশের AC বা Alternating Current প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার পরিবর্তন হয়। যার মাঝে একটি পজেটিভ(Positive) ও একটি নেগেটিভ(Negative) সাইকেল নিয়ে পূর্ণ একটি ফ্রিকুয়েন্সি পরিমাপ করা হয়।এখান থেকে আমরা সহজে বলতে পারি যে ৫০ হার্জ ফ্রিকুয়েন্সিতে প্রতি সেকেন্ডে আমরা ৫০ বার পজেটিভ(Positive ও ৫০ বার নেগেটিভ(Negative সিগন্যাল বা ভোল্টেজ পাবো। তাহলে প্রতিটি হার্জের সময় লাগবে ১/৫০=০.০২ সেকেন্ড বা ২০ মিলিসেকেন্ড।

এবার আমরা মূলত একটি হার্জ নিয়ে কাজ করবো উপরের চিত্র থেকে। একটি পরিবর্তনশীল রাশির ধনাত্মক ও ঋণাত্মক এর মাঝে সবসময় শূন্য বিবেচনা করা হয়ে থাকে যা 0V দিয়ে দেখানো হয়েছে। মাঝাখানে আমরা সবসময় জিরো ভোল্টেজ পাবো।একটি ফ্রিকুয়েন্সি নিয়ে যখন কাজ করছিঃ চার্জ সঞ্চয় করে রাখতে পারে এমন ডিভাইস ক্যাপাসিটর নিয়ে আমরা এখন কাজ করবো। আমরা জানি ক্যাপাসিটরের দুটি প্রান্ত থাকে। একটি পজেটিভ ও অপরটি নেগেটিভ। এবার প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এসির দুটি প্রান্তকে ক্যাপাসিটরের দুটি প্রান্ত সাথে সংযুক্ত করবো।তাহলে প্রথম ফ্রিকুয়েন্সির ক্ষেত্রে, ক্যাপাসিটরের পজেটিভ প্রান্তের সাথে এসির উপরের প্রান্ত লাগানো আছে যেটি পজেটিভ বা ধনাত্মক আধানে চার্জিত হবে ও নেগেটিভ প্রান্তটি কারেন্টের নিচের প্রান্তের সাথে লাগানো আছে সেটি ঋণাত্মক আধানে চার্জিত হবে।

তাহলে ধরি প্রথম ফ্রিকুয়েন্সির জন্য ক্যাপাসিটর পজেটিভ +২ ভোল্ট অর্জন করলো।প্রথম ফ্রিকুয়েন্সি তো গেলো এবার বাকি ৪৯ ফ্রিকুয়েন্সির কি অবস্থা হবে??? কারন আমরা তো জানি এসি হলো পরিবর্তনশীল কারেন্ট। আচ্ছা তাহলে এবার দ্বিতীয় ফ্রিকুয়েন্সির জন্য দেখি কি হয়।দ্বিতীয় ফ্রিকুয়েন্সিতে এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট প্রান্ত দুটি প্রথম ফ্রিকুয়েন্সির বিপরীত। তাহলে ক্যাপাসিটর যে প্রান্তে আগে এসির ধনাত্মক সিগন্যাল প্রবেশ করেছিলো এখন ক্যাপাসিটরের সেই প্রান্তে একই এসি থেকে ঋণাত্মক সিগন্যাল প্রবেশ করবে।আবার যেই প্রান্তে প্রথমে এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট থেকে ঋণাত্মক সিগন্যাল প্রবেশ করেছিলো সেখানে ধনাত্মক সিগন্যাল প্রবেশ করবে। তাহলে এখানে নেগেটিভ -2 পাবো।অর্থাৎ +২-২= ০ ভোল্ট অর্থাৎ দ্বিতীয় ফ্রিকুয়েন্সি ক্যাপাসিটরে জমে থাকা পুরো ২ ভোল্ট নিস্ক্রিয় করে দিবে। এইভাবে এসি বা অল্টারনেটিং কারেন্ট থেকে আসা পরিবর্তনশীল মান থেকে আউটপুট জিরো পাবো। একারনে মূলত এসি সরাসরি জমা রাখতে পারি না।

5.কেন DC বা Direct Current কারেন্ট জমা রাখতে পারি?

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি যে, ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট এর মান অপরিবর্তিত থাকে। আমারা যদি ক্যাপাসিটরের দুই প্রান্তে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট সাপ্লাই দেই তাহলে এর আউটপুটে মান পাবো।

ক্যাপাসিটর ভোল্টেজ বা সিগন্যাল গ্রহণ করতে থাকবে। এখানে কোন পরিবর্তনশীল সিগন্যাল নেই যার কারনে সিগন্যাল ডিসচার্জ হয়ে যাবে। একারনে আমরা যদি ক্যাপাসিটরের দুই প্রান্তে ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট এর দুই দিক সংযোগ দেই তবে আমরা আউটপুটে জিরো পাবো না। এর ফলে ক্যাপাসিটর যেহেতু ভোল্টেজ বা সিগন্যাল গ্রহণ করতে থাকবে তাই ক্যাপাসিটর ব্লক হয়ে থাকবে এবং কারেন্ট জমা রাখতে পারবে।

এর পরবর্তী পোস্ট এ আমরা Ohm’s Law সমদ্ধে বিস্তারিত জানবো।এই রকম আরো পোস্ট পেতে এই পেজটি ফলো করুন।

আমাদের পূর্বের পোস্ট গুলি পড়তে আপনি নিচের লিংক এ ক্লিক করুন:

 1. ভোল্টেজ কী?ভোল্টেজ এবং কারেন্ট মধ্যে পার্থক্য


 2.
কারেন্ট কি ?What is Electric Current? in Bengali


3.
ব্যাটারি কী? বিদ্যুতিক সেল কী? ব্যাটারীর ইতিহাস ও প্রকার


4.
তড়িৎ প্রবাহের উৎপত্তি


5.
পারমাণবিক গঠন

যদি আপনার এই পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন|এছাড়াও আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্স এ অবশ্যই জানাবেন।

10 thoughts on “Difference between AC and DC Current in Bengali”

  1. Link exchange is nothing else however it is just placing the other person’s website link on your page at appropriate place and other person will also do same for you. vw begagnade bilar july.prizsewoman.com/map15.php

    Reply

Leave a Comment

error: Content is protected !!