আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ওহমের সূত্রের গুরুত্ব অপরিসীম ,দৈনন্দিন জীবনে চলতে গেলে আমাদের ওহমের সূত্রকে কোনো না কোনো ভাবে বা কোনো না কোনো সময় কাজে লাগিয়েই চলতে হয় ,এবং ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ও এটি একটি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় ,তাই আজ আমরা ওহমের এর সূত্র (Ohm’s law)সম্বন্ধে বিস্তারিত জানবো।
এই লেখাতে যে বিষয়ে আলোচনা করবো:
1.ওহমের সূত্র(Ohm’s law)।
2.ওহমের সূত্রের ব্যাখ্যা।(Explanation of Ohm’s law)
3.ভোল্টেজ(Voltage), কারেন্ট (Current)ও রেজিস্ট্যান্সের(Resistance) মধ্যে সম্পর্ক।
4.ত্রিভুজের সাহায্যে ওহমের সূত্র নির্ণয়।
5.সার্কিটের ভোল্টেজ(Voltage), কারেন্ট(Current) ও রেজিস্ট্যান্স(Resistance) নির্নয়।
6.দৈনন্দিন জীবনে ওহমের সূত্রের ৬ টি উদাহরণ ।
সর্বপ্রথম জার্মান পদার্থ বিজ্ঞানী অধ্যাপক জর্জ সাইমন ওহম (George Simon Ohm) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ভোল্টেজ(Voltage) (V), কারেন্ট (I) ও রেজিস্ট্যান্সের(Resistance) (R) মধ্যে একটি সম্পর্ক তুলে ধরেন তাই জর্জ সাইমন ওহম এর নাম অনুসারে এই সূত্রের নামকরণ করা হয় Ohm’s Law বা ওহমের সূত্র।
1.ওহমের সূত্র(Ohm’s Law):
উষ্ণতার ও অনান্য ভৌত অবস্থার পরিবর্তন না হলে ,কোনো পরিবাহীর (তার এর) মধ্যে দিয়ে তড়িৎ প্রবাহ মাত্রা টি ওই পরিবাহীর (তার এর) দুই দিকের (প্রান্তের) বিভব প্রভেদ এর সমানুপাতিক হয়, এবং রোধের (Resistance) ব্যস্তানুপাতিক।
2.ওহমের সূত্রের ব্যাখ্যা(Explanation of Ohm’s law)
পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের ওপর পরিবাহীর তড়িৎ প্রবাহ নির্ভর করে ,যেমন দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য বাড়ালে তড়িৎ প্রবাহ বাড়বে এবং দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য কমালে তড়িৎ প্রবাহ কমবে।রেজিস্ট্যান্স(Resistance) বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ কমবে এবং রেজিস্ট্যান্স(Resistance) কমলে তড়িৎ প্রবাহ বাড়বে।
যদি কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে I amp কারেন্ট প্রবাহিত হয়, ওই পরিবাহির দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V volt হয় এবং রেজিস্ট্যান্স(Resistance) যদি R ohm হয়, তাহলে ওহম এর সূত্রানুসারে,
V = I x R
এখানে,
V = ভোল্টেজ(Voltage) বা বিভব (ভোল্ট),
I = কারেন্ট(Current) (অ্যাম্পিয়ার),
R = রেজিস্ট্যান্স বা রোধ (ওহম)(Resistance)।
যেহেতু,V = I x R অর্থাৎ, ভোল্টেজ(Voltage) = কারেন্ট(Current) x রেজিস্ট্যান্স(Resistance),
অতএব,I = V / R অর্থাৎ, কারেন্ট(Current) = ভোল্টেজ(Voltage) / রেজিস্ট্যান্স(Resistance),
এবং R = V / I অর্থাৎ, রেজিস্ট্যান্স(Resistance) = ভোল্টেজ(Voltage) / কারেন্ট(Current)।

অর্থাৎ, ভোল্টেজ(Voltage) বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ বাড়বে ও ভোল্টেজ কমলে তড়িৎ প্রবাহ কমবে। এবং রেজিস্ট্যান্স(Resistance) বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ কমবে এবং রেজিস্ট্যান্স(Resistance) কমলে তড়িৎ প্রবাহ বাড়বে।
লক্ষ্যনীয় বিষয়, ভোল্টেজ(Voltage) বলতে শুধু এখানে ভোল্টেজ(Voltage) হিসেবে দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যকে ধরা হয়।
3.ভোল্টেজ(Voltage), কারেন্ট(Current) ও রেজিস্ট্যান্সের(Resistance) মধ্যে সম্পর্ক।
আগে বুঝবো ওহমের সূত্র তে ভোল্টেজ, কারেন্ট আর রেসিস্টেন্স কি কাজ করে , আমরা এই সূত্র টা জানি যে কোনো বস্তূ কে বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তূ সব সময় স্থির অবস্থায় থাকে এবং গতিশীল বস্তূ তার নির্দিষ্ট গতি তে চলতে থাকে , সেই রকম ভাবে কোনো পরিবাহীর মধ্যে ভোল্টেজ কার্রেন্ট কে বল প্রয়োগ করছে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তার মানে ভোল্টেজ যত বেশি বল প্রয়োগ করবে তড়িৎ তত বেশি প্রবাহিত হবে ,এর থেকে আমরা বুজতে পারছি ভোল্টেজ বাড়লে তড়িৎ প্রবাহ বাড়বে সুতরাং এরা সমানুপাতিক. আর রেসিস্টেন্স কথার অর্থ হলো বাধা অর্থাৎ আমরা তড়িৎ প্রবাহ তে যত বেশি বাধা দেব তড়িৎ প্রবাহ তত কম হবে তাহলে বলতে পারি রেসিস্টেন্স যত বাড়বে তড়িৎ প্রবাহ ততই কমবে অতএব এটি ব্যাস্তানুপাতিক.
4.ত্রিভুজের সাহায্যে ওহমের সূত্র নির্ণয়।
ত্রিভুজের সাহায্যে খুব সহজেই ওহমের সূত্র থেকে ভোল্টেজ, কারেন্ট, রেজিস্ট্যান্স নির্ণয় করা যায়। প্রথমে একটি ত্রিভুজ অংকন কর। ত্রিভুজকে উপরের চিত্রের নেয় তিনটি ভাগে ভাগ করে নিবো। উপরের ভাগে থাকবে V(ভোল্টেজ) এবং নিচের দুইটি ভাগে I(কারেন্ট) ও R(রেজিস্ট্যান্স)। উপরের ত্রিভুজ হতে সূত্র নির্ণয় করার সময় প্রথমে যার সূত্র নির্ণয় করতে চাই তাকে সিলেক্ট করবো এবং তার সমান হিসবে বাকি দুটিকে নিবো। বাকি দুটি যদি পরস্পর পাশাপাশি থাকে তাহলে তাদেরকে পরস্পর গুণ আকারে প্রকাশ করবো এবং পরস্পর যদি উপর নিচে থাকে তাহলে ভাগ আকারে প্রকাশ করবো।
এবার আমরা ট্রায়েঙ্গেল চিত্রের সাহায্যে ভোল্টেজ(Voltage), কারেন্ট (Current)ও রেজিস্ট্যান্স(Resistance) নির্ণয় করা শিখবো।
ভোল্টেজ(V)নির্ণয়:

সেহেতু V = I x R অর্থাৎ, ভোল্টেজ(Voltage) = কারেন্ট(Current) x রেজিস্ট্যান্স(Resistance) হবে।
কারেন্ট(I) নির্ণয়ঃ

সুতরাং, I = V / R অর্থাৎ, কারেন্ট(Current) = ভোল্টেজ(Voltage) / রেজিস্ট্যান্স(Resistance)।
রেজিস্ট্যান্স(R) নির্ণয়:
একই ভাবে আমরা এবার ত্রিভুজ হতে রেজিস্ট্যান্স(Resistance) হিসেব R কে সিলেক্ট করবো। এবার দেখতে পাচ্ছি যে, V ও I উপর-নিচে অবস্থান করছে। সেহেতু এদেরকেও ভাগ আকারে প্রকাশ করতে হবে।

সুতরাং, R = V / I অর্থাৎ, রেজিস্ট্যান্স(Resistance) = ভোল্টেজ(Voltage) / কারেন্ট।
5.সার্কিটের ভোল্টেজ(Voltage), কারেন্ট(Current) ও রেজিস্ট্যান্স(Resistance) নির্নয়।
এবার আমরা ওহমের সূত্রের সাহায্যে খুবই সহজ একটা উদাহরণের মাধ্যমে সার্কিটের কারেন্ট, ভোল্টেজ(Voltage) ও রেজিস্ট্যান্স নির্নয় করা শিখবো। চলুন শুরু করা যাক
কারেন্ট(Current) নির্ণয়:

সমাধানঃ
এখানে,
ভোল্টেজ(Voltage), V= 12 V,
রেজিস্ট্যান্স(Resistance), R= 3 Ohm’s,
আমরা জানি,
I = V / R
= 12/ 3
= 4 Amp (Ans).
ভোল্টেজ (Voltage)নির্ণয়:

সমাধানঃ
এখানে,
রেজিস্ট্যান্স(Resistance), R = 3 Ohm
কারেন্ট(Current), I = 4 Amp
আমরা জানি,
I = V / R
.: V = I x R
I= 4 x 3
I = 12 Volt (Ans).
রেজিস্ট্যান্স(Resistance) নির্ণয়:

সমাধানঃ
এখানে,
ভোল্টেজ(Voltage), V = 12 Ohm
কারেন্ট(Current), I = 4 Amp
আমরা জানি,
I = V / R
.:R = V / I
= 12 / 4
= 3 Ohm (Ans).
6.দৈনন্দিন জীবনে ওহমের সূত্রের ৬ টি উদাহরণ ।
১. প্রচলিত ঘরোয়া ফ্যান
২ .বৈদ্যুতিক হিটার
৩. বৈদ্যুতিক ক্যাটলি ও এবং আয়রন
৪. টর্চ লাইট
৫. মোবাইল এবং ল্যাপটপ চার্জার
৬. ফিউস ডিজাইনে
আমাদের পূর্বের পোস্ট গুলি পড়তে আপনি নিচের লিংক এ ক্লিক করুন:
1. ভোল্টেজ(Voltage) কী?ভোল্টেজ(Voltage) এবং কারেন্ট মধ্যে পার্থক্য
2. কারেন্ট কি ?What is Electric Current? in Bengali
3. AC ও DC মধ্যে প্রার্থক্য।
4. তড়িৎ প্রবাহের উৎপত্তি
5. পারমাণবিক গঠন
6. ব্যাটারি কী? বিদ্যুতিক সেল কী? ব্যাটারীর ইতিহাস ও প্রকার
যদি আপনার এই পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন|এছাড়াও আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বক্স এ অবশ্যই জানাবেন।
Khub valo hoyache, sir khub sundar sajea gucheya lekhachen. ame aapner page er regular viewer,
You made some respectable factors there. I seemed on the web for the issue and found most people will go along with together with your website. Whitney Alano Anet
Some genuinely nice and useful info on this internet site, likewise I believe the design has got fantastic features. Enid Eamon Serg
After study a couple of of the weblog posts on your website now, and I truly like your method of blogging. I bookmarked it to my bookmark web site list and will be checking again soon. Pls try my website online as well and let me know what you think. Renae Murdoch Cato
Great website. Lots of helpful info here.
I am sending it to some buddies ans additionally sharing
in delicious. And naturally, thank you on your effort!
bookmarked!!, I like your blog!
My brother suggested I may like this web site. He was once
entirely right. This submit truly made my day. You can not believe just how
so much time I had spent for this information! Thanks!
If you wish for to take a great deal from this piece of writing
then you have to apply such methods to your won weblog.
I will right away seize your rss as I can’t to find your email subscription link or e-newsletter service.
Do you’ve any? Please let me know so that I could subscribe.
Thanks.
I do consider all of the concepts you have offered in your post.
They are really convincing and will definitely
work. Nonetheless, the posts are too quick for beginners.
May you please lengthen them a little from next time? Thanks for the
post.
Good article. I will be experiencing some of these
issues as well..
I am honored and appreciated for your valuable information. Your articles are very nice.
I’m glad I saw your page, it’s very informative, you’re really great, please continue like this.
I like your website very much, the explanations are very clear and simple, I wish your page to improve, goodbye, love and respect.
Thanks