
আজকে আমরা যে যে বিষয় গুলি নিয়ে আলোচনা করবো সে গুলি হলো –পদার্থ কি?(What is Matter?)এর প্রকারভেদ,অণু ( Molecule ) পরমাণু ( Atom),ইলেক্ট্রন(Electron)ইলেক্ট্রন তত্ত্ব(Electron theory),প্রোটন(Proton)ও নিউট্রন(Neutron)
পদার্থ (Matter):
যার ওজন আছে এবং স্থান দখল করে থাকে আর বল প্রয়ােগ করলে গতি প্রাপ্ত হয় তাকে পদার্থ বলে ।পদার্থ দুই প্রকার । ( ১ ) মৌলিক পদার্থ , ( ২ ) যৌগিক পদার্থ ।
অবস্থাভেদে পদার্থ তিন প্রকার ; যথা- ( ক ) কঠিন পদার্থ ( খ ) বায়বীয় পদার্থ ( গ ) তরল পদার্থ ।
( ১ ) মৌলিক পদার্থ : যে সমস্ত পদার্থকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করার পরেও সেই পদার্থ ছাড়া অন্য কোন পদার্থের ধর্ম বা গুণ পাওয়া যায় না তাকে মৌলিক পদার্থ বলে । যেমন- হাইড্রোজেন , অক্সিজেন , কার্বন , নাইট্রোজেন , সােনা , রূপা , তামা ইত্যাদি ।
( ২ ) যৌগিক পদার্থ : দুই বা দুইয়ের চেয়ে বেশি পদার্থের সমন্বয়ে গঠিত পদার্থকে যৌগিক পদার্থ বলে । যেমন – কার্বন ডাই – অক্সাইড , চুন , তুতে , চিনি , পানি , লবণ , তৈল ও মাটি ইত্যাদি ।
অণু ( Molecule ) :
পৃথিবীতে যত পদার্থ আছে , তাদের প্রত্যেকটি অনেকগুলি অতি ক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত । এই ক্ষুদ্র কণাগুলির নাম অণু ( Molecule ) । যে অণু দ্বারা পদার্থ গঠিত হয় , সেই অণু ঐ পদার্থের মধ্যেই থাকে । আবার প্রত্যেকটি অণু কয়েকটি পরমাণুর নিয়ে গঠিত হয় ।
পরমাণু ( Atom) :
অণুর ক্ষুদ্রতম কণাকে পরমাণু ( Atom ) বলে । অণুকে ভাঙ্গিলে অণুর গুণ বর্তমান থাকে। কিন্তু পরমাণুকে ভাঙ্গিলে বস্তুর কোন গুণ থাকে না । যেমন- জলের অণুতে জলের সব গুণাবলী উপস্থিত থাকে । কিন্তু দুই ভাগ হাইড্রোজেন ও এক ভাগ অক্সিজেন নিয়ে জলের অণু গঠিত । এই হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনে জলের কোন আলাদা গুণ নেই। হাইড্রোজেন ও অক্সিজেনের গুণ শুধুমাত্র হাইড্রোজেন ও অক্সিজেন এর অণুতেই উপস্থিত থাকে । কিন্তু এদের পরমাণুতে ঐ গুণাগুণ বর্তমান থাকে না ।
প্রত্যেক পদার্থের পরমাণু আবার নিউক্লিয়াস(Nucleus) ও ইলেক্ট্রন(Electron) নিয়ে গঠিত হয়। নিউক্লিয়াসকে ভাঙলে প্রােটন(Proton) ও নিউট্রোন(Neutron) পাওয়া যায় ।

ইলেক্ট্রন(Electron) :ইলেক্ট্রন হলো পরমাণুর ক্ষুদ্রতম অংশ- যেটি নেগেটিভ চার্জযুক্ত। এটি নিউক্লিয়াসের চারিদিকে ঘুরে বেড়াই ।এর ওজন ১১০৭x১০-২৮ গ্রাম এবং এর রেডিয়াস ১০-১৩ সেঃ মিঃ ।
ইলেক্ট্রন তত্ত্ব(Electron theory) :
বিজ্ঞানীদের মতে ১০৬ টি মৌলিক পদার্থ আছে । নিউক্লিয়াস ও ইলেক্ট্রনের সমন্বয়ে পরমাণু গঠিত হয় । ইলেক্ট্রন নেগেটিভ চার্জযুক্ত । নিউক্লিয়াস গঠিত হয় প্রােটন ও নিউট্রোন দ্বারা। প্রােটন পজেটিভ চার্জ যুক্ত । কিন্তু নিউট্রনের কোন চার্জ নাই । তাই ইহা নিরপেক্ষ । ইলেকট্রোমােটিভফোর্স এবং ইলেক্ট্রনের প্রবাহ , উভয়ে মিলে যে শক্তি তৈরি হয় তাকে আমরা ইলেকট্রিসিটি(Electricity) বলি। পরমাণুতে পজেটিভ ও নেগেটিভ চার্জ সমান থাকে।সাধারণত পরমাণু সমান সংখ্যক প্রোটন ও ইলেক্ট্রন বহন করে। তাই সস্ত পদার্থ ইলেকট্রিকালী নিরপেক্ষ । নিউক্লিয়াস পরমাণুর কেন্দ্র বিন্দু তে অবস্থান করে । এর চারিদিকে নির্দিষ্ট কক্ষ পথে ইলেকট্রন ঘুরিতে থাকে। এই কক্ষ পথের নাম সেল(Shell)।
প্রোটন(Proton) -পজিটিভ চার্জের ইউনিটকে প্রোটন বলে। এর চার্জের মান 1.6X10-19 কুলোম। বিভিন্ন উপাদান থেকে প্রাপ্ত প্রোটনগুলি সর্বদাই একই রকম। এগুলি নিউক্লিয়াসে অবস্থিত এবং কোনও ধরণের চলাচল করে না। প্রোটনগুলি ইলেক্ট্রনের তুলনায় 185 গুণ বেশি।
নিউট্রন(Neutron)– এটি একটি বৈদ্যুতিক নিরপেক্ষ কণা যা প্রোটনের মতো নিউক্লিয়াসে অবস্থিত এবং কোনও ধরণের গতি দেয় না। নিউট্রনের ওজন প্রোটনের তুলনায় প্রায় সমান।বিভিন্ন উপাদান থেকে প্রাপ্ত নিউট্রনগুলি সর্বদাই একরকম।
আমাদের পূর্বের পোস্ট গুলি পড়তে আপনি নিচের লিংক এ ক্লিক করুন:
- ডায়োড কি?|ইতিহাস | কার্যপ্রণালী |Forward bias | Reverse bias
- ভোল্টেজ(Voltage) কী?ভোল্টেজ(Voltage) এবং কারেন্ট মধ্যে পার্থক্য
- কারেন্ট কি ?What is Electric Current? in Bengali
- AC ও DC মধ্যে প্রার্থক্য।
- তড়িৎ প্রবাহের উৎপত্তি
- পারমাণবিক গঠন
- ব্যাটারি কী? বিদ্যুতিক সেল কী? ব্যাটারীর ইতিহাস ও প্রকার
- ওহমের সূত্র
- একটিভ কম্পোনেন্ট ও প্যাসিভ কম্পোনেন্ট এর মধ্যে পার্থক্য
হ্যালো বন্ধুরা, এই পোস্টে আমরা আপনাদের পদার্থ কি?(What is Matter?)এর প্রকারভেদ,অণু ( Molecule ) পরমাণু ( Atom),ইলেক্ট্রন(Electron)ইলেক্ট্রন তত্ত্ব(Electron theory),প্রোটন(Proton)ও নিউট্রন(Neutron) এগুলি সম্পর্কে আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি|
যদি আপনার এই পোস্ট টি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন|এছাড়াও আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে কমেন্ট বাক্স এ অবশ্যই জানাবেন |
Good day! This is my first visit to your blog! We are a
team of volunteers and starting a new project in a community in the same niche.
Your blog provided us beneficial information to work on. You have done a extraordinary job!